Goat Farming Loan Apply: গ্রাম্য এলাকায় যারা কৃষির সাথে সাথে অন্য কিছু মুনাফাজনক ব্য়বসার কথা চিন্তা করছেন। তাদের জন্য় সরকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে তারা অন্য কিছু ব্যবসা করে আরও রোজগার বাড়াতে পারে।
বলা যায়, যারা ছাগল পালন করার কথা ভাবছেন, তারা সরকারী দপ্তর থেকে পশু পালন যোজনার জন্য সরকারী লোন পেয়ে যাবেন। ছাগল, ভেড়া কিনতে পারবেন, পালন-পোষণ করতে পারবেন লোনের সহায়তায়।
পশুপালন করতে কোন ব্যক্তি লোনের জন্য আবেদন (Goat Farming Loan Apply) করতে পারেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। ব্যক্তির প্রয়োজন অনুসারে তাকে লোন প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ব্যক্তিটি লোন তুলতে পারেন। লোনের লিমিটেশনও থাকে।
যদি আপনি গ্রামে থাকেন এবং ছাগল, ভেড়া প্রতিপালন করে একটা ভালো রোজগার জেনারেট করতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বলব আপনি সেটা কিভাবে করতে পারবেন। সঙ্গে লোনের জন্য আপনি কিভাবে আবেদন করবেন তার সবকিছুই জানাব প্রতিবেদনটি পড়তে থাকুন।
Goat Farming Loan Apply
পশুপালন লোনের সুবিধা হল এটা যে ব্যক্তি এই পশুপালনের জন্য লোন নিয়েছেন তিনি লোন শোধ করার অনেকটাই সময় পেয়ে যান। যাতে তিনি ধীরে ধীরে পশুপালন করে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করতে পারেন।
অনেক ব্যক্তিই এই পশুপালন করে নিজের রোজগার বাড়িয়েছেন। আপনিও যদি এই ছাগল, ভেড়া প্রতিপালন করে ইনকাম করতে চান তাহলে আজই ব্যাঙ্কের সাথে লোন সম্পর্কিত কথা বলুন। অনেক ব্যক্তিই এই পশুপালনের মাধ্যমে সফলতা পেয়ে যাচ্ছেন। খুব লাভজনক ব্যবসা এই ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি পশুপালন।
পশুপালনের যোগ্যতার ধরন।
- যিনি লোন নেবেন তিনি অবশ্যই গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করতে হবে।
- ব্যক্তি কৃষক হতে পারে অথবা আগে থেকে মুরগি পালন বা অন্য পশুপালনের সঙ্গে যোগ থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর নামে ২ হেক্টর পরিমাণ জমি থাকতে হবে।
- সেই ব্যক্তি আগে কোনো সময় এই লোন যেন না নিয়ে থাকে।
পশুপালনের জন্য লোনের পরিমাণ কত?
সরকারি এই লোন পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। যে কেউ এই লোনের সুবিধা পেতে পারেন যদি সরকারি নিয়ম অনুসারে, ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসারে এই যোগ্যতা একজন ব্যক্তির থেকে থাকে। তবে সেই ব্যক্তি লোন হিসাবে ৫০,০০০ টাকা থেকে ৫০ লাখ পর্যন্ত লোন নিতে পারে। কিন্তু এটা মনে রাখতে পারে যে ব্যক্তির যেমন ব্যবসা হবে সেই অনুসারে লোনের পরিমাণ স্বীকৃত হবে।
সরকারি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লোনের (Goat Farming Loan Apply ) বিভিন্ন সীমা থাকতে পারে। সুতরাং এখনই আপনি নিজের কাছের সরকারি ব্যাঙ্কে গিয়ে খবর নেন এই বিষয়ে যাতে পরে অসুবিধা না হয়। আগেভাগেই সেটা জেনে নিন ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে যাতায়াত করে।
পশুপালনের প্রয়োজনীয়তা।
- পুরো লোনের প্রক্রিয়াটি মোটামুটি অফলাইনের মাধ্যমেই হয়।
- লোনের আবেদনের জন্য কোন চার্জ লাগে না।
- লোনের সুবিধা সমস্ত জাতির ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকবেন।
- তবে এই লোনের যে সরকার সাবসিডি দেয় সেটা কাস্ট অনুসার হয়ে থাকে।
ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি পালনে কি পরিমাণ সুদ দিতে হয়।
ভারত সরকার দ্বারা পশুপালনের লোনের সুদের পরিমাণ বছরে মোটামুটি শতকরা ৭ পারসেন্ট দিতে হয়। প্রত্যেক বছর সুদের পরিমাণ পরিবর্তন হয়। নতুন লোন ধারকের জন্য একই শতকরা একই পারসেন্টেজে সুদ পরিশোধ করতে হয়।
Read More: স্টেট ব্যাঙ্ক পার্সোনাল লোন দিচ্ছে ২০ লাখ টাকা! কিভাবে আবেদন করবেন বিস্তারিত জেনে নিন।
লোন পরিশোধ করার ন্যূনতম সময়।
কোনো ব্যক্তি একবার লোনের সুবিধা পেলে তাকে প্রায় ৫ বছর অবধি সেই লোন পরিশোধ করার সুযোগ পায়। সরকারি তরফ থেকে ৫ বছর লোন পরিশোধের সময় করা হয়েছে। যা একজন ব্যক্তির লোন পরিশোধ দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধাজনক সাবিদ হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া (Goat Farming Loan Apply)
- লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যাঙ্কে যেতে হবে।
- নাবার্ড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আপনি বকরী পালন যোজনার ফর্ম পেয়ে যাবেন।
- এই ফর্মে সমস্ত তথ্য নির্দেশ অনুযায়ী পূরণ করবেন।
- নাবার্ডের অনুমোদন সহিত আপনাকে ফর্ম জমা দিতে হবে।
- এর সাথে আপনার কৃষি জমি পরীক্ষা করে নেওয়া হবে তৎক্ষণাৎ।
- সরকারি সব নিয়ম এবং শর্ত মিলে গেলে আপনি লোনের জন্য লোন গ্রাহক হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন এবং লোনের টাকা আপনার ব্যাঙ্কে হস্তান্তরিত হয়ে যাবে।
Important Links
Goat Farming Loan Apply: Click Here
Developement Scheme with NABARD: Click Here